অনুগল্প - ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী

             

             ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী


  •  শিরোনাম -    সত্য ঘটনা অবলম্বনে বাস্তবের প্রেক্ষাপটে জ্বলন্ত জীবনের করুন আলেখ্য এবং তার থেকে উত্তরণের চেষ্টা                           

         কলমে - Indranil Chatterjee 


তোমার গল্প কেমন জানি না, তবে আমার গল্পে ভাগ্যের সাথ নেই,বলা ভালো সৌভাগ্যের সাথ নেই, বলছি তার কারণ আছে, বুঝিয়ে বলা ব্যক্তির অভাব প্রথমত, দ্বিতীয় অহম ভাব বেশি ,তৃতীয় বলতে পারি, মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউ নেই আর চারিদিকে একটা অশান্তি অস্বস্তির পরিবেশ প্রায় গৃহযুদ্ধ বলা চলে। সেই রকম পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকবোধ বুদ্ধি মানুষের লোপ পাওয়াই স্বাভাবিক কিন্তু শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক জ্ঞান এ মোটিভেশনাল ফিল্ম- সিরিয়াল- সিরিজ দেখে একটি ছেলে কিভাবে বড় হয়ে উঠল সেটা অনেকের কাছে আশ্চর্য মনে হলেও, তার নিজের কাছে এটাই এক বড় আশ্চর্যের বিষয়! আজ সেটা উপলব্ধি করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক বোধ স্মৃতিশক্তি কল্পনার উন্নতি সাধন ঘটেছে; বলা ভালো স্থান কাল পাত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে!আর  ঠিক কি কি  পরিবর্তন করতে হবে, তাকে তা ভাবিয়ে তুলেছে এবং সেজন্যই সে অসৎসঙ্গ অখ্যাত অস্থানকে সে ignore করে চলেছে আর সাহিত্য- সঙ্গীত -সৃষ্টিশীলতার জগতে আসতে আসতে নিজেকে মেলে ধরছএ; সে তার উইল পাওয়ার- আত্মশক্তি- বিবেক বোধ দ্বারা চালিত হয়ে আরো বেশি করে আত্ম সচেতন- সমাজ সচেতন ও বলিষ্ঠ সদাচার যুক্ত মানবতা  ও নাগরিক হয়ে উঠতে মনস্থ করেছে;আর আজ সে ভেঙে পড়ার জায়গায় সে আরো বেশি করে সাহিত্য- সঙ্গীত- সৃষ্টিশীলতাকে বেশি করে  আকড়ে  ধরছে, নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করে চলেছে! কোথায় ভুল হচ্ছে এবং সে নিজে নিজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে যে , সে সাহিত্য- সংগীত- শিল্পীচেতনাকে আরো স্বকীয়তা দিয়ে উন্নত করবে !,এখানে সে নিয়তিকে অনেকটা পাশে পেয়েছে তবুও মাঝে মাঝেই দুশ্চিন্তে তাকে গ্রাস করে ; দুঃখকে সে জয় করতে না পারলেও সুখের ঠিকানা অর্থাৎ সুখের আশ্রয় সে মোটামুটি খুঁজে পেয়েছে!জানিনা তাকে এতদিন যারা অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে আসছিল- অপদস্ত করে আসছিল বিভিন্ন উপায়ে, আজ তারা হয়তো পশ্চাতাপ প্রায়শ্চিত্ত করছে কিংবা, নতুন কোন ষড়যন্ত্র করছে !কিন্তু, সেই ছেলেটির আজ অনেক পরিবর্তন হয়েছে,- জীবনে নীতিগুলি শিক্ষাগুলি, এতদিন ধরে পাওয়া মূল্যবোধগুলি সে পালন করতে সচেষ্ট হয়েছে! (ভগবান তথা ভাগ্য দেবে হয়তো প্রসন্ন!) ছেলেটি আজকের সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বলে করজোরে মাথা নামিয়ে জয় হে দেব!; নিরোগ শরীর প্রদান করুন, শত্রু -বাধা- রোগ নাশ করুন আর আর তার মাতা পিতাকে যারা অন্যায়ভাবে অপদস্থ করেছিল তাদের নির্বংশতার ইচ্ছা নিয়ে মনমন্দিরে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত তথা প্রদীপ প্রজলন! 

     ---সমাপ্ত---

লেখক পরিচিতি 

IndranilChatterjee, Burdwan: Burdwan এর বাসিন্দা। সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজের মাঝে লেখালেখি চলে।।  বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়  লেখা বেরোয়।