প্রবাহ - কাকলি ভট্টাচার্য


 

                       


ঘুরে ফিরে যার কথা লিখতে চেয়েছি সে আমারই জানাশোনা একজন মানুষ।
তার মজা, তার আনন্দ, কল্পনায় তার ভেসে ওঠা, কিংবা স্বপ্নে তার ডানা মেলে ওড়া - - সেই মানুষটির নাম কাকলি।
কখনও মানুষটিকে আমি জনসেবক করি, কখনও সস্তার দোকানে দরাদরি করাই, কখনও চিকিৎসকের উঠোনে নিয়ে বসাই, আবার কখনও স্বপ্নের ভাড়াটে খুনি তৈরি করি, আবার কখনও বা সংসারে এক সন্ন্যাসী বানাই।
   গত দুবছর এই মানুষটি অনেক পরিণত হয়েছে, মৃত্যু, দম্ভ, শোক, অসুখ এবং ওষুধ দেখেছে।
   আর দেখেছে মৃত্যুর শত্রু সাদা বাড়িতে স্তব্ধ হয়ে অপেক্ষা করছে।
   কান্নার ধ্বনি কত সুরে যে হতে পারে, সকালের ভৈরবী থেকে সন্ধ্যার ইমন-- কান পেতে শুনেছে। 
    এই মানুষটি স্কুলে থাকাকালীন পড়ার বইতে শত্রুপক্ষ এবং মিত্রপক্ষ পড়েছিল। 
  দুটি বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে। 
এরপর চীন যুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পড়তে গিয়ে ধারণা ক্রমশ পুষ্ট হয়। 
   এই মানুষটির জীবনে লেখার বীজ কে বপন করেছিলেন জানা নেই। 
 কবে যে প্রথম অপমানিত হয়ে মনে মনে চুপ করে যেতে শিখেছিলাম, তা আজ আর সুস্পষ্ট মনে নেই, আয়না ছাড়াই নিজের মুখ নিজে দেখেছি। 
   জেদ নামক এক ভয়াবহ মদে ভীষণ নেশা হয়।
এই মদ আকণ্ঠ পান করেছি বারবার। 
জানতাম আমি লিখতে পারি না, বানান জানি না, যতিচিহ্ন বুঝি না, ইতিহাস ভূগোল কিছু জানি না তবু নতুন নতুন অপমান আর নতুন নতুন নৈরাশ্য সঙ্গী করে অন্ধকারে পথ তৈরি করার অদম্য ইচ্ছা ছিল। 
      এই ইচ্ছেকে সম্বল করে মনের কথা লিখতে শুরু করি। 
    গল্পের উপাদান চারপাশের মানুষ। 
পথেই আছে পৃথিবীর সব শ্রেষ্ঠ গল্প। আজ সেই পথের কথাই লিখব আবার।
উত্তরবঙ্গ জঙ্গলের সবুজ আর পশুদের বাসস্থান হিসেবে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
    আমি জীবনে বেশ কয়েকবার উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করেছি, প্রতিবার বন্ধু গোষ্ঠীর সাথে ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে।
    ইচ্ছে আর সময় ছিল সার্বজনীন।
  হ্যাঁ-তে হ্যাঁ বলাই গোষ্ঠী ধর্ম।
    আমার নিজস্ব চিত্র হল জঙ্গলে গিয়ে জঙ্গলে না ঢোকা।
কারণ পশুদের ঘরে জিপ নিয়ে তাণ্ডব করাকে আমি বর্বরতা ভাবি।
কটা ময়ূর, হাতি আর বাইসন দেখে জীবন ধন্য হবার সত্যিই কি যুক্তি আছে?
   উল্টোদিকে যদি এইরকম হত, ওরা জিপ নিয়ে আমার বেডরুমে আলো ফেলে দেখছে এই মুহূর্তে আমি কী করছি!
   সেইরকম হলে কেমন হত?
তাই জঙ্গলে গিয়ে বাইসন, ময়ূর কিংবা হাতির খোঁজ আমার পছন্দের নয়।
   কিন্তু এতবার গিয়ে এই মতামত দিতে কুণ্ঠা বোধ করেছি, মানুষের কাছে ভ্রমণের অর্থ হচ্ছে অনু পরমাণু পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝোলায় ভরা।
    সময় হিসেবে হয়ত তিনটে বেলা, এরমধ্যে সবটুকু দেখে আসা।
   আমরা *কড়ি দিয়ে কিনলাম* এই মতবাদের দাস।
এবার যেহেতু দুজনের বেড়ানো তাই দায়িত্ব কম।
    জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে ওঠা।
বিলাসবহুল নিঃসন্দেহে।
   পিছনে ঘন জঙ্গল।
  একজন ভদ্রলোকের সাথে আলাপ হল, ইনি স্থানীয় বাসিন্দা।
চায়ের দোকানে কথা হচ্ছে।
কথা প্রসঙ্গে অবধারিত জঙ্গল সাফারির কথাই এল।
   এই প্রথম আমি খোলা মনে আমার মত জানাই, ইনি বোধহয় অবাক হলেন।

খানিকটা সময় চুপ করে থেকে বললেন -
"আপনারা তবে *টোটোপাড়া* ঘুরে আসুন।
    মাদারিহাট থেকে বেশি দূরে নয়, এক ক্রমশঃ অবলুপ্ত জনগোষ্ঠী।
    সভ্যতার ব্যাধি এখনও স্পর্শ করেনি ওদের।
   ওরা সমতলে খুব একটা আসে না, এখানকার মানুষের সাথে স্বচ্ছন্দ না, স্বতন্ত্র থাকতেই পছন্দ।

তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত যেতেই হবে।
    কখনও নাম শুনিনি তো!
   পাহাড়ের উপর ওদের গ্রাম, আমাকে দেখে আসতে হবেই।
    আমার দোসর তৎক্ষণাৎ রাজি হলেন।
গাড়ি ঠিক করে সকালবেলা যাব।
সকাল আটটা নাগাদ গাড়ি এল।
চালক ছেলেটির নাম রেজাউল।
    সন্তানের বয়সী।
অসম্ভব বিনয়ী।
  বলল 'পথ কিন্তু ভীষণ খারাপ।
 গাড়ি দুলবে সারাক্ষণ।' 
    ধানি রঙের শাড়ি পরলাম। 
      সদ্য বপন ধানগাছের মতন নিজেকে তৈরি করা। 
   পথে এল "হাণ্ডা টি-গার্ডেন" 
   পেরিয়ে চলেছি ঘন সবুজের আঁচল ছায়া ধরে। 
    এল পাথর বিছানো পথ। 
রেজাউল বলল এটা জামতলা নদী। 
বর্ষায় এই পথ বন্ধ থাকে। 
এই পাথর ভরা পথ জলে পরিপূর্ণ তখন। 
    দু ধারের পথ কেবলমাত্র বনভূমি। 
আমি সেই কমলালেবু আলোয় সকালেই পরিস্কার দেখতে পেলাম - আমার ঠাকুরদা, আমার মা, আমার কাকা কাকিমা, আমার মাসি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। 
  তর্পণের জন্য একমুঠি বালু হাতে।
ছুঁয়ে যাওয়া চিবুকে কান্নার লবণের ঋণ। 
   এসব কথা বোঝা এক জিনিস, আর ফুটিয়ে তোলা আরেক জিনিস, বিশেষ করে এই অনুভূতি পাঠকের মনে সঞ্চারিত করা তো দূরহ। 
  আমি মৃত আপনজনের কাছে জিজ্ঞেস করলাম - - 'কী চাও'? 
  তাঁরা কিছু বললে না।
বিহ্বল দৃষ্টি তাঁদের। 
  
   দেখছেন তো গল্প অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। 
সাঁতরে নদী পার হলে বোধকরি সোজা পথে গল্প এগিয়ে যেত। 
     রেজাউল দেখাল "এই দেখুন পথ এবার লেখা, আমরা টোটো পাড়ার মধ্যে ঢুকছি এখন"! 
     চলে এলাম ভেজালহীন জগতে। 
    দুধারে ঘর। অজস্র সুপারী গাছ। 
   ঈশ্বরের আশীর্বাদ ওরা আমাদের সাথে কথা বলল। 
কথা মানে ইশারা। 
   বুড়ি এক টোটো-মা আমাকে ডাকলেন। 
আমার গলায় হারটি পছন্দ। 
    ওনার সারা মুখে বলিরেখা অথচ কী ভীষণ জীবন্ত চোখ। 
আমি হারটি খুলে ওনার গলায় পরিয়ে দিতেই শিশুর মত খুশি হলেন। হাতে ধরা বিড়ি ছিল, ইশারায় টানতে বলেন। 
রেজাউল বলল, "ম্যাডাম ওরা এভাবে দেয় না কখনও, আপনি টান দিন একবার"! 
   অনভ্যস্ত হাতে সুখটান বিড়িতে। 
   অদ্ভুত মায়া মাখা ঠোঁট ওনার। 
করোনা ভুলে একটা চুমু দিই। 
    এগিয়ে চলি ঘন পাড়ার দিকে। 
   একজন ভদ্রলোক বাইরে বসে সুপারী ছাড়াচ্ছেন। 
আমার পানের নেশা, সুপারী দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম। 
   ভদ্রলোক তাকিয়ে দেখে কাছে ডাকেন। 
টোটোদের বাড়িগুলি মাটি থেকে অনেক উঁচুতে। 
রেজাউল বলল হাতির পাল আসে বলেই ঘর উঁচুতে তৈরি। 
   ভদ্রলোকের সংসারটি সাজানো। 
মেয়ে বসে বুনো ওল ছাড়াচ্ছে। 
  শূকরের খাদ্য।
ছেলেও বাইরে বসা।
মা গেছে কাঠ আনতে জঙ্গলে। 
উনি ভিতরে নিয়ে গেলেন, দেখালেন মাটির নিচে সুপারী কবর দেওয়া। 
এক বছর ধরে পচানো হয়, এরপর তুলে খাওয়া। 
সাংঘাতিক গরম হয়ে যাবে শরীর। 
এই সুপারী সমতলে যায়, আসামে এর কদর খুব বেশি। 
নিপুণ হাতে সুপারী কাটা দেখে অভিভূত। 
আমার পানের সরঞ্জাম বের করাতে উনি রাখতে বললেন। 
ঘর থেকে পান এনে দেন। 
  বলেন এক টুকরো সুপারী দিয়ে পানটি খেতে। 
বিভিৎস গন্ধ ঐ সুপারীর। 
   মনে হচ্ছিল যেন শুঁটকি মাছ। 
শরীর গোলাচ্ছিল।
বললাম পরে খাব এখন হাতে নিয়ে যাই। 
 এক ঠোঙা দিয়ে দিলেন। 
    হাঁটতে হাঁটতে কত গল্প, কত মানুষ, কত অভিজ্ঞতা। 
   ওদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক, বাজার, এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখলাম। 
   উচ্চ বিদ্যালয় নেই এখানে। 
    সহজ সরল মানুষ আজও আছেন তাই পৃথিবীর ভারসাম্য সুরক্ষিত। 
মন্দিরের দেবতা পাথরের হয় কিন্তু মন মন্দিরের এই দেবতাদের চাক্ষুষ করলাম।
রুচি ব্যাপারটা নিতান্তই ব্যক্তিগত।
আমার রুচির সাথে আপনাদের রুচি মিলতে না পারে, কিন্তু না মিললেই যে আমারটা সুরুচি আর অন্যেরটা কুরুচি এমন কথা স্বপ্নেও ভাবি না।
রুচি জীবনের সাথে, মানসিকতার সাথে, পারিপার্শ্বিকের সাথে বদল হতে থাকে।
আমাদের জীবন-নদীর চলনটাই যে এমন।
চোরাবালির ঘূর্ণি বসতি স্থাপন করে।
ট্যুরিস্ট লজে ফিরে ভাবনায় বুঁদ হয়ে ছিলাম। ঝুরু ঝুরু শুকনো পাতার হাওয়া, ফিসফিস তটভূমি।
  আমার ঘরের পিছনে ঘন জঙ্গলাবৃত।
রাত চরা পাখিদের চিকন ডাক আমাকে চেতন দেয়নি।
   হঠাৎ আওয়াজ।
আওয়াজ এল পিছন থেকেই।
  প্রতি পদক্ষেপে যেন দলিত পৃথিবী।
রাত পোশাকে তিনটি বাইসন এসে দাঁড়িয়েছে।
    চাঁদের আলোয় তাদের কালো চেহারা হাঁটুর কাছে যেন সাদা মোজা, বিশাল কাঁধ, মাটির প্রদীপের মত সমান্তরাল দুটি কান।
শরীর অনড় রেখে দাঁড়িয়ে রইল।
     মাঝে কাঁটাতারের বেড়া।
কিছু কথা বলতে এসেছিল মনে হয়, মোবাইলটি হাতেই, ঘনান্ধকারের ভেতরে বেরিয়ে ছিলাম।
ছবি তুলতে গিয়ে মনে হলো বলে - - নাহ্, আমি এখন যে পোশাক পরে আছি ওরাও তো তাই পরেই এখানে এসেছে, এখন আমার এই রাত পোশাকের ছবি যদি কেউ অজান্তেই তুলে ইন্টারনেটে দিয়ে দেয় তবে কী আমার ভালো লাগবে?
     ওরা সম্ভবতঃ ধন্যবাদ জানাতেই রাত পোশাকে চলে এসেছে।
ওদের যাওয়ার পর আঁধার অরণ্যের ছবি তুললাম।
  জমাট অন্ধকারে অদ্ভুত সুন্দর ভাষা।
প্রতিটি গাছ কথা বলে যেন। 

কেমন করে খবর রটে গেল, আশেপাশের কটেজ থেকে হুড়োহুড়ি - -! 
   ওরা চলে গেল। 
    বাইসনের ঘাড় খুব শক্ত, বাঘও ভাঙতে পারে না একমাত্র শিশু বাইসন ছাড়া। 
ইস্ আমি কেন চাইলাম না ওইরকম শক্ত ঘাড়। 
    মাথা নত করতে করতে বড় ক্লান্ত। 

এবারে আপনাদেরকে টোটোদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে লেখার ইতি টানি। 
টোটো ভারতের এক অতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী।
পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তর প্রান্তে ভুটান সীমান্তে তোর্ষা নদীর ধারে টোটো পাড়া নামক স্বতন্ত্র গ্রামে এদের বসবাস।
টোটোরা তাদের গ্রামের বাইরে অন্য কোথাও বাস করেন না।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি একটি সমীক্ষায় দেখা গেল টোটো উপজাতি প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
১৯৫১ সালের জনগণণায় এদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩২১ জনে।
পরবর্তী দশকে টোটো উপজাতি রক্ষা করার উদ্দেশ্যে সরকার কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
২০০১ সালে জনগণণায় এদের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮৪ জন।
টোটোরা বৃহত্তর ইন্দো-মঙ্গলীয় জনগোষ্ঠীর একটি বিচ্ছিন্ন শাখা।
এরা ১৩ টি গোষ্ঠী বা গোত্রে বিভক্ত।
সমগোত্রীয় বিবাহ টোটো সমাজে নিষিদ্ধ।
টোটো ভাষা বৃহত্তর বার্মা ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
টোটো ভাষার কোনও লিপি নেই, বর্তমানে এরা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে।
মাত্র ২০০০ একর পরিসীমার টোটো পাড়া গ্রামটি টোটোদের একমাত্র বাসভূমি।
জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের সন্নিকটে অবস্থিত এই গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম।
ভুটান সীমান্ত বরাবর দাঁড়িয়ে আছে তাদিং পাহাড়।
এই পাহাড়ের ঢালেই টোটোদের গ্রাম।
পাহাড় ঘেরা এই গ্রামটি টোটো সংস্কৃতি এবং ধর্মের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
টোটোদের মধ্যে কৃষিজীবীই বেশি। এরা পশুপাখি পালন করে। একসময় টোটোরা উচ্চ মানের কমলালেবু চাষ করত।
টোটোদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।
সামাজিক কাঠামো মজবুত।
এক পুরুষের একাধিক স্ত্রী স্বীকৃত।
টোটোরা প্রকৃতিবাদী। প্রকৃতির সব কিছুই তাদের উপাস্য।
এদের নিজস্ব ধর্ম আছে, অবশ্য এখন অনেকে নিজেদেরকে হিন্দু বলে পরিচয় দেন।
এরা মহাকাল মহকালী (ঈশপা) পুজো করেন।
এক খণ্ড পাথরকে মহাকাল রূপে এবং দুটি ঢোলককে মহকালী রূপে পুজো করা হয়।
পুজোতে ইউ নামক এক প্রকার পানীয় দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়।
টোটোরা বাসগৃহকে বলে--- নাকা-শা। 
এই বাসগ়ৃহ মাটির থেকে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু মাচার উপর তৈরি করা হয়।
বাসগৃহের নিচে এরা গৃহপালিত পশু শূকর পালন করে।
চাষবাদের ক্ষেত্রে টোটোরা দক্ষ নয়।
তার উপর জমির অভাব ও জমির উর্বরতার অভাবে টোটোরা সারা বছরের খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পারেন না।
চাল ভুট্টা মারউয়া কাউন ইত্যাদি খাদ্য গ্রহণ করে।
খাদ্য সংগ্রহের ব্যাপারে ওরা এখনও অরণ্যের উপরেই অনেকটাই নির্ভরশীল।
রেজাউল বলল 'ওরা বিবাহের আগে এক বছর পরস্পর একসাথে থাকে।
   মিলন সঠিক হলেই বিবাহবন্ধন হয়।' 
আমি প্রশ্ন করলাম - - এই এক বছরের মিলনে যদি সন্তান আসে, তখন তার অবস্থান কী?
রেজাউলের উত্তর - - - 'সেই বাচ্চা বাবার কাছেই থাকবে।' 
মনে হলো আহা, সভ্য সমাজে এ নিয়ম নেই কেন? 

----সমাপ্ত----

লেখক পরিচিতি

 Kakali Bhattacharyya

জন্ম ঝাড়খণ্ডে।
লেখাপড়া ওখানেই।
ছোটো থেকে লেখালেখির সাথে যুক্ত।
একাধিক বইতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
কলকাতায় বাড়ি।
শ্রুতিনাটক করি ।
মঞ্চে পারফর্ম করি।