বিবাহ বন্ধন - সন্ধ্যা ঘোষ সেনাপতি
বিবাহ বন্ধন
সন্ধ্যা ঘোষ সেনাপতি
আশীর্বাদের ঠিক পরের দিন বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে যাওয়ার যানবাহন হিসাবে একটি টোটো ভাড়া করে বাড়ির আরও দু-তিনজন মিলে রওনা দেবার পথে হঠাৎই অপর দিক থেকে আসা গাড়ি কে সাইড দিতে গিয়ে গাড়ি উল্টে পড়বি তো পর এক্কেবারে যার বিয়ে আর সাত দিন বাকি তার হাতের উপর ফলে হাতের হাড় ভেঙে শহরের নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার আগে মেয়েকে বল তার হবু বরের সাথে পরামর্শ করতে চায় কোথায় আছে তার হাত অপারেশন করাবে
ছেলে ও তার মা ফোনে খবর পেয়ে ছুটল নার্সিংহোমে, বরের পরামর্শ মতই সব কিছু ঘটল অপারেশন হলো সাত দিনের মাথায় বিয়ে হল কিন্তু একটা প্রশ্ন ছেলের মাথায় শুধুই ঘুরপাক খেতে লাগলো ২২ বছর ধরে যে বাবা মা মানুষ করলো। সব দায়িত্ব পালন করল। তাদের চেয়ে এই দশ দিনের চেনা মানুষটির গুরুত্ব এত বেশি হল কিভাবে এর থেকে এক ঘটনার কথা মনে পড়ল কংস তার বোন দেবকির বিয়ে বাসুদেবের সঙ্গে দেবার পর দুই ভবানী হল দেবকির অষ্টম গর্ভের সন্তান তার মৃত্যুর কারণ হবে সঙ্গে সঙ্গে কংস তার বোনকে তরবারি দিয়ে কাটতে গেল বাসুদেব কংসের কাছে তার স্ত্রীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছিল। কংস অবাক হয়ে ভাবল কি এমন হলো যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার জীবন ভিক্ষা চাইছে অথচ এত বছর একসাথে একি মায়ের সন্তান হয়েও তার মৃত্যু চাইছে বিবাহ বন্ধন এমন এক অপূর্ব বন্ধন যা মুহূর্তে মানুষের কাছে মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে এক অপূর্ব বন্ধন। যার বর্ণনা কেউই আজ পর্যন্ত দিতে পারেনি।
------সমাপ্ত ------
লেখিকা পরিচিতি
সন্ধ্যা ঘোষ সেনাপতি
বাংলায় অনার্স এম এ বি এড
১৯৫৭ সালের ২২ শে নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে জন্ম
পিতা শ্রী রামচন্দ্র সেনাপতি মাতা পুষ্পরানি সেনাপতি কর্মজীবন ১৯৮১ সালের ৭ই মার্চ গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষিকা হিসাবে যুক্ত হই পর ১৯৮৬ সালের একুশে নভেম্বর নদিয়া জেলার দ্বিতীয় মিশনারী
ব্যক্তি জীবন নদীয়ার বাদকুল্লা নিবাসী সুভাষ ঘোষের সহিত বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হই এক পুত্র পুত্রবধূ ও নাতি সহ অবসর জীবন যাপন করি
২০১৪ সালে পিতার মৃত্যু আমাকে লেখনি ধারণ করতে সাহায্য করেছে
Join the conversation