শেষ পরিণতি - সাদিয়া আফরিন ১


                শেষ পরিণতি 

              সাদিয়া আফরিন  


এক বছরের শিশু রুপোম।তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত। বাঁচার আশা প্রায় শেষ। তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে।কিন্তু সেই কাজ দিয়ে সংসার চালানো গেলেও রুপমের বাবার খরচ চালানো তার মায়ের জন্য অসম্ভব হয়ে যায়।তাই বাধ্য হয়ে তার মা শ্রমিকের কাজও করে।কঠিন পরিশ্রম করে তার বাবার ওষুধের খরচ চালাতো।এইভাবেই দিন যেতে থাকে।সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।দিনের শেষে নিজে ঠিকমতো খাবারও খেতে পাই না সব রুপমের বাবাকে খাওয়ায়।তার ঔষধ খাবার সব চাহিদা পূরণ করে বাকি যেইটুকু থাকে তা নিজে খাই।কতোগুলো দিন চলে গিয়েছে অনাহারে।লুকিয়ে কেঁদেছে ক্ষুধার জ্বালায়।এইভাবেই চলতে থাকে দিন।রুপম ছোট শিশু মায়ের বুকের দুধ তার একমাত্র খাদ্য।কিন্তু মায়ের পুষ্টির অভাব রুপমের শরীর অপুষ্টিতে ভোগে।হঠাৎ একদিন রুপোম অসুস্থ হয়ে পড়ে।তবে ছেলে কে তো সুস্থ করতে হবে।আর ছেলের অসুস্থতার জন্য সে দৈনিক কাজেও যেতে পারেনা।কাজে না গেলে তাকে এমনি তো কেউ মাইনে দেবে না।হাতে যে কয়টা টাকা ছিলো সেইগুলোও প্রায় শেষ।ছেলের আর তার বাবার ঔষধ খরচ চালানো তার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছিলো না।অবশেষে বাড়ি বন্ধক রেখে কিছু টাকা নিয়ে আসে।সেইটা দিয়ে রুপমের আর তার বাবার চিকিৎসা চালায়।রুপোম ধিরে ধিরে সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে তার বাবার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়।তিনি প্রত্যহ আরও বেশি অসুস্থ হন।রুপোমের মা আবারও কাজে  যেতে শুরু করে।ভেবেছিলো কাজ করে গ্রাম পঞ্চায়তের কাছে থেকে বন্ধক রাখা দলিল ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।কিন্তু এর মধ্যে ঘটলো দুর্ঘটনা। মারা গেলেন রুপোমের বাবা।দীর্ঘ ১বছর অসুস্থ থেকে তিনি ত্যাগ করলেন পৃথিবীর মায়া।রুপোমের মা এখন নিঃস্ব। ছোটবেলায় বাবা-মা হারিয়ে এতিম হয়েছিলেন তিনি।এখন স্বামীহারা বিধবা।ভাগ্যের লিখনে যেন দুঃখীনি সে।রুপোমের বাবা মারা যাওয়ার পর গ্রাম পঞ্চায়েত তার ওপর টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। প্রায় এক মাস পর জোর করে বাড়ি দখল নিয়ে নেয়।রুপোমের বয়স এখন দুই বছর। ছোট শিশুকে নিয়ে কোথায়  যাবে। থাকার মতো তাদের তো আর কোন জায়গা নেই।গ্রাম ছেড়ে কাজের খোঁজে পাড়ি জমায় শহরে ।



তখনো  ভোরের আলো ফোটেনি। তারা এসে পৌঁছেছে শহরে।ক্ষুধায়, তৃষ্ণায় প্রায় অচল হয়ে পড়েন তিনি।পাশের একটা টিউবওয়েল থেকে একটু পানি খেয়ে সেখানেই বসে পড়েন। এতো বেশি ক্লান্ত হয়ে  গিয়েছিলেন যে দাঁড়িয়ে থাকার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে।প্রায় দুইদিন থেকে খাবার খান নি।শক্তি বা কি করে থাকবে।হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়।পাশে বসে ছোট শিশু রুপোম কান্না করতে থাকে। আশেপাশের লোকজন তাকে নিয়ে যায় পাশের একটা দোকানে।সেখানে সবাই চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিলে জ্ঞান ফিরে আসে।দুইদিন থেকে না খাওয়ার কথা শুনে দোকানের মালিক তাকে কিছু খাবার দেয়।তারপর ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।একটা ভাতের হোটেলে কাজ করতে চাইলে সেখানে কাজ দেয় তাকে।পাশের একটা ছোট কুটিরে তারা থাকতে শুরু করে।তাদের দিন গুলো ভালোই যাচ্ছিলো।তবে তার মা অল্পবয়সী একজন মহিলা।দুষ্ট লোকদের কুনজরের শিকার হয় বার বার।তবুও ছেলে কে নিয়ে সেখানেই থাকে।হোটেলের মালিক ছিলো খুব ভালো মানুষ। তিন বছর থেকে কাজ করছে রুপোমের মা।তাই অনেক বিশ্বস্ত হয়ে যায় তার কাছে।কিন্ত ম্যানাজার তাকে বার বার বাজে প্রস্তাব দিতো।রুপোমের মা এইসব প্রস্তাবে রাজি হতো না।একদিন তাকে হোটেলের ম্যানাজার চোরের অপবাদ দেয়।সে চুরি করে নি কিন্তু তার বিরুদ্ধে এমন কিছু প্রমাণ দেখায় যে হোটেলের মালিকও তাকে ভুল বোঝে।কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়।




ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন সেখান থেকে।পথিমধ্যে এক বড়লোক ছেলের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে অল্প চোট লাগলো রুপমের মায়ের।হাত থেকে রক্ত ঝরছিলো।ছেলেটি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে তাকে রাস্তা থেকে তুললেন। হাত থেকে রক্ত ঝরছে দেখে গাড়ি থেকে ফার্স্ট এইড বক্স বের করে তার হাতে মলম লাগিয়ে দিলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন তারা কোথায় যাবে?তাদেরকে গাড়ি করে সেখানে  পৌঁছে দিবেন।রুপোমের মা বললো তাদের যাবার কোন জায়গা নেই।তারপর এক এক করে গ্রাম থেকে শহরে আসার সব ঘটনা ছেলেটির কাছে বললো।সবকিছু শুনে ছেলেটি খুব মর্মাহত হলো।তাকে প্রস্তাব করলো যদি সে তার বাড়ির কাজ করে দেয় তবে  থাকার জন্য জায়গা,খাবার এবং মাসিক কিছু মাইনে দিবে।রুপোমের মা এই প্রস্তাবে রাজি হলেন।ছেলেটি বাড়িতে নিয়ে গেলেন তাকে।বাড়িতে শুধু ছেলে এবং তার মা থাকতো।রুপোমের মা বাড়ির কাজের সাথে ছেলেটির মায়ের দেখাশোনা করতো।আসছে নতুন বছর।ছেলেটি  রুপোম কে পাশের একটা স্কুলে ভর্তি করে দিলো।নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি রুপোমকেও পড়াতো সে।ভালোই কাটছিলো দিন।দীর্ঘ দশ বছর অবসান।রুপোম আজ মাধ্যমিক পাশ করেছে।খুব ভালো রেজাল্ট করেছে।রুপোমের মা অত্যান্ত খুশি হয়েছে।বাড়ির মালিক ও অনেক খুশি।মালিক ছেলেটি রূপোম কে ভাইয়ের মতো  ভালোবাসতো।সে চাইলো রুপম কে ভালো কলেজে ভর্তি করতে।মেসে থাকার সব খরচ সে করবে।



আজ রুপোম মেসে চলে যাচ্ছে।কান্নায় ভেঙে পড়েছে রুপোমের মা।মা কে শান্তনা দিয়ে রুপোম চলে গেলো মেসে।দেখতে দেখতে দুই বছর শেষ। রুপোম আবারও অনেক ভালো রেজাল্ট করে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।আজকে বাড়ি ফিরেছে রুপোম। মালিক ছেলেটির বিয়ে কাল।সেই উদ্দেশ্যে আরও আজকে বাড়ি ফেরা।রুপোম কে নিয়ে তার মা এখন অনেক স্বপ্ন দেখে।সে একদিন বড় কিছু করবে।মালিক ছেলেটির মতো চাকরি করবে।রুপোমকে দেখে তার মায়ের চোখের জল যেন আর সয় না। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদে।করুণ সুরে বলে কেমন আছিস খোকা।রুপোমের মা কে  সান্ত্বনা দেয় মালিক ছেলেটির মা।




বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।এবার রুপোমের আবার চলে যাবার দিন।এখন সে ভার্সিটিতে পড়ে।তার মা এখনো কাজ করে মালিকের বাড়িতে।এইভাবে তিন বছর যায়।হঠাৎ একদিন মালিকের মা মারা যায়।তারপর রুপোমের মা একদম একা হয়ে যায়।এইদিকে মালিকের বউ ভালো মানুষ নয়।সে কাজে ভুল হলে রুপোমের মা কে কথা শোনায়।রান্নায় এদিক সেদিক হলে গরম তারে ছ্যাঁক দেয়।সময়মতো সব কাজ শেষ করতে না পারলে মারধোরও করে। আর মালিকের কাছে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ দেয়।এইভাবে চলে প্রায় এক বছর।মালিকের একটা ছোট মেয়ে হয়েছে।এখন মেয়েটা কে দেখাশোনা করা রুপোমের মায়ের প্রধান দায়িত্ব।সব কষ্ট সহ্য করে শুধু রুপোমের ভবিষ্যৎ চেয়ে মালিকের বউয়ের কাছে দাসী হয়ে থাকে সে।আজ মালিকের মেয়েটা ঘরে খেলা করছিলো।মালিকের বউ ডাক দেওয়ায় বাচ্চাকে রেখে রান্না ঘরে যায়।এর মধ্যে বাচ্চাটা দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে কপালের একটা জায়গা কেটে যায়।এই দেখে মালিকের বউ তাকে অনেক কথা বলে শুধু সেখানেই ক্ষান্ত থাকেন তিনি নোড়া দিয়ে বাচ্চার যেই জায়গায় কেটেছে সেই  যায়গায় কেটে দেয়।দর দর করে ঝরে রক্ত।শাড়ির আঁচল দিয়ে চেপে রেখে বাইরে গিয়ে কান্না করেন অঝোরে।রাতে মালিক অফিস থেকে  ফিরলে বলে ইচ্ছে করে তার মেয়েকে ফেলে দিয়েছে।মালিক তাকে ভুল বোঝে বের করে দেয় বাড়ি থেকে।তার আর কোন উপায় না থেকে রুপোম কে জানায় সব।রুপোম তার মা কে তার কাছে নিয়ে যায়।সে এখন একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে পার্ট টাইম জব করে। মা কে নিয়ে ছোট একটা রুমে থাকে তারা।বিভিন্ন জবের জন্য চেষ্টা করছে সে।হঠাৎ একদিন তার কাছে খবর আসে সে একটা ভালো কোম্পানির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলো সেইখানে জব হয়েছে।খুব খুশি হয় রুপোমের মা।বয়সের ভার আর সারাজীবনের কাজের ক্লান্তিতে প্রায় নুয়ে পড়েছে রুপোমের মা।তিনি চেয়েছিলেন তার ছেলে ভালো একটা চাকরি করবে এইটা দেখে যেন মরতে পারে।আজকে রুপোম চাকরি পেয়েছে।এইবার তার আর কোন দুঃখ থাকবে না।রোজ সকালে অফিসে যায় রুপোম।সারাদিন একা একা থাকেন তার মা।



প্রায় ৬মাস। রুপোম এখন চাকরি করে।শহরে একটা ছোট বাড়িও বানিয়েছে।মা আর সে থাকে একসাথে। এইদিকে অফিসে গিয়ে এক মেয়ের সাথে ভাব হয় তার।মা কে জানিয়ে বিয়ে করতে চাই।তার মাও অনেক খুশি হয়।সারাদিন একা থাকে বা ঘরের অনেক কাজ করতে পারেন না। বউ আসলে তাদের আরেকজন সঙ্গি হবে। তাদের বিয়েও সম্পন্ন হয়।রুপোমের বউ অনন্যা আধুনিক যূগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে।প্রথম দিকে তার মা এর সেবা যত্ন করতো।ধীরে ধীরে রুপোমের মা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।অনন্যার জন্য দেখাশোনা করে অফিস ঘরের কাজ করা খুব কষ্টকর হচ্ছিলো।অনন্যা ধীরে ধীরে তার শাশুড়ীর যত্ন নেওয়া কমিয়ে দেয়।রুপোম সারাদিনের ব্যস্ততায় মায়ের খোঁজ ঠিক করে নিতে পারে না।এখন রুপোমের মা শয্যাশয়ী। নিজের কাজ নিজে করতে অক্ষম তিনি।আর অনন্যা ও খুব একটা যত্ন নেই না।ঠিক মতো খাবার দেয় না।না খেয়ে কেটে যায় কয়েকবেলা।তিনি শুধু শুয়ে শুয়ে কান্না করেন।বেশ কিছুদিনে পর রুপোমের কাছে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চাকরির জন্য প্রস্তাব আসে।রুপোম এখন আমেরিকায় চলে যাবে তার বউ কে নিয়ে।কিন্তু মা তো অসুস্থ। তাই বউ কে রেখে যায় মায়ের কাছে।এইদিকে অনন্যা একদিন ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে পড়ে যায় ছাদ থেকে।আঘাতে তার দুই চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ততোদিনে রুপোমের মা কথা বলার শক্তি প্রায় হারিয়ে ফেলেছে।ছেলের বউয়ের এইরকম কথা শূনে তিনি তার দুই চোখ অনন্যা কে দিয়ে দেয়।তবে এই কথা রুপোমের কাছে সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়।রুপোম কে জানানো হয় চোখ কেউ ডোনেট করেছে।এখন রুপোমের মা অন্ধ।এমনিতে অসুস্থ তার পরে অন্ধ তাকে দেখাশোনার প্রতি আরও বিরক্ত হয়ে যায় অনন্যা।রুপোমকে বলে সে ও ভালো জবের জন্য আমেরিকায় যেতে চাই এবং তার মায়ের জন্য একজন কাজের লোক রাখতে বলে। রুপোম অনন্যার কথায় রাজি হয়।অনন্যা তার মায়ের জন্য একজন কাজের লোক খুঁজে দেয়।তাকে মাসে মাসে মাইনে দিবে বলে রেখে যায়।




যেই ছেলের জন্য তিনি সারাজীবন নিজেকে বিলিয়ে দিলেন সেই ছেলে তাকে রেখে এখন শতো শতো মেইল দূরে। এখন কাজের লোক রুপোমের মায়ের দেখাশোনা করেন।সেই তার সব ভরসা।সে ঠিক করে কথাও বলতে পারে না।তাই অনন্যার দিয়ে যাওয়া ফোনে রুপোম কাজের মেয়ের থেকে মাঝে মাঝে  মায়ের খবর নিতো।ধীরে ধীরে সেইটাও কমিয়ে দেয়।ব্যস্ততায় ভুলে যায় মা কে।শুধু মাস শেষ এ কাজের লোক কে টাকা দেওয়ার সময় মায়ের খোঁজ নেই।একদিন তার মা কে রেখে কাজের লোক বাজার করতে যাচ্ছিলো।পথিমধ্যে একটা ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে মৃত্যু ঘটে তার।ফোনটি  চাকার নিচে পড়ে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে।এইদিকে রুপোমের মা অপেক্ষা করতে থাকে তার জন্য। কিন্তু কাজের লোক আর আসে নি।বেলা শেষ রাত্রী নামে।রাত্রী শেষে আবার আসে সকাল।ক্ষুধায় ছটপট করেন তিনি।এইভাবে দিনের পর দিন কাটতে কাটতে ত্যাগ করে পৃথিবী।তার খোকা জানতেও পারলো না মারা গেছে তার মা।এইদিকে রুপোম কাজের লোক কে কল দেয় মাসের শেষে৷ কিন্তু কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারে নি।এক মাস দুই মাস করে তিন মাস পর্যন্ত খোঁজ না পেয়ে রুপোমের মায়ের কথা খুব মনে পড়ে।সে দেশে ফিরতে চায়।সেইদিন রাতেই অনন্যা কে নিয়ে দেশে ফিরে আসে।এসে দেখে ঘরে তার মা নেই।বাড়িটা যেন কতো দিন জনমানব শূণ্য। চার দিকে ধুলো জমে গেছে।মাকড়সার ঝালে ছেয়ে গেছে চারদিক।রুপোম অস্থির হয়ে যায়।পাশের  ফ্যাল্টে গিয়ে মায়ের খোঁজ নেই।তারা জানান ওই বাড়িতে একটা লাশ পাওয়া গিয়েছে যেইটা পচে গন্ধ করছিলো।আশে পাশের মানুষ গন্ধে থাকতে না পেরে পুলিশ কে জানায়।গতকাল রাতে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেছে।রুপোমের চোখ থেকে অঝোরে জল ঝরে।বের হয়ে আসে বাড়ি থেকে। মা মা বলে চিৎকার দিয়ে কান্না করে।অনন্যা রুপোমের কাঁধে হাত রেখে বিষণ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রুপোমের দিকে।আকাশের দিকে চাই রুপোম।মা যেন তাকে বলছে সেই মেস থেকে ফেরার দিনের মতো "কেমন আছিস খোকা?"


                  <------সমাপ্ত------>


                 লেখিকা পরিচিতি

মোসাঃ সাদিয়া আফরিন বিলকিস,
পিতা মোহাঃবাবুল ইসলাম,
মাতা মোসাঃসায়েরা খাতুন
গ্রামঃগঙ্গারাম্পুর
উপজেলাঃ শিবগঞ্জ 
জেলাঃচাঁপাইনবয়াবগঞ্জ 
ধর্মঃমুসলিম
জাতীয়তাঃবাংলাদেশী
পেশাঃনার্সিং শিক্ষার্থী (১ম বর্ষ)