শিক্ষা ও সংস্কৃতি - সেখ সফিকুল রহমান
শিক্ষা ও সংস্কৃতি
সেখ সফিকুল রহমান
সারা বিশ্ব সমূহের ঐতিহ্য অনুসারে শিক্ষাকে একটা পথপ্রদর্শক এবং উন্নত জীবন ধারণের মুখ্য বিষয় বলে ধারণা করা হয় । শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে জ্ঞান সঞ্চারিত হয়। শিক্ষা মানুষ্য সমাজকে যেন ভয়াবহ অন্ধকার ছন্ন ঘর থেকে বের করে এনে আলোর নির্দশন দেয়। শিক্ষা জ্ঞান যদি মনুষ্য সমাজকে ঘিরে রাখে , তাহলে হয়তো এত সহজে কোন অশুভ শক্তি বা বিনাশকারী মানুষ্য সমাজে বিনাশের পথ খুঁজে পাবে না। শিক্ষা আমাদের ঐক্যবদ্ধ পথ দেখায় ।যে ঐক্য মানব কল্যাণার্থে প্রযোজ্য। 'শ্রদ্ধা' যে ব্যক্তি বাস্তবে শিক্ষা অর্জন করতে পারে সে শ্রদ্ধা নামক বর্ণটি আক্ষরিক অর্থ বুঝে যায়। তখন তার মধ্যে বোধ ভাব আসে, যে আমাদের কখন কিভাবে চলা উচিত তাই তিনটি কালের মধ্যে আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হয় সকল চৈতন্য বিশিষ্ট জীব কে । তাই অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ কে যেন সুন্দরভাবে স্মরণে রাখে। অতীত মানে শুধু যে নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা এমনটা নয়। অতীত মানে হচ্ছে পুরনো দিনের সংস্কৃতি এবং তৎকালীন সময়ের মানুষের ব্যবহার আচার-আচরণ এবং তাদের জীবন অতিবাহিত করার কিছু কাহিনী। ওই কাহিনী কে অবলম্বন করে পরবর্তী সময়ে তাদের সাংস্কৃতি এবং আচার-আচরণ অনুসরণ করে বর্তমানকে পরিচালনার করার নাম হচ্ছে অতীত বা তৎকালীন মনীষীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া। এটাও আমাদের শিক্ষার একটা ধাপ বলা যায়। বর্তমানে যেগুলো আমাদের সাথে অতি নিয়ত ঘটছে সেগুলো হয়তো একটা ঘটনা। কিন্তু ভবিষ্যৎ থেকে যখন বর্তমানের কথা ভাবা যাবে সেটা তখন একটা গল্পে পরিণত হয়। তাই এই তিনটে কাল আমাদের কাছে স্মরণাপন্ন । আমরা যদি আজ অতীতের সেই মনীষীদের কে বা তাদের জীবন অতিবাহিত করার ঘটনাকে অনুসরণ না করি তাহলে পরবর্তী জেনারেশন যখন আমাদের এই সংস্কৃতি এবং আচার-আচরণ অনুসরণ করবে তখন তখন শিক্ষা সংস্কৃতির মর্যাদাটা বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।শিক্ষার কোন মাধুর্যতা থাকবে না শিক্ষার কোন সুন্দরতা থাকবে না । শিক্ষা বলতে থাকবে লক্ষাধিক ছেলের অসৎ আচরণ এবং লাঞ্ছিত শিক্ষা।
------সমাপ্ত------
Join the conversation