কবি সুব্রত মিত্র
কবি পরিচিতি
সুব্রত মিত্র
নামটার সাথেই প্রকাশ পায় এক অর্থবহুল শব্দের পরিচিতি। সুব্রত মিত্র নিজেও তার নামের অর্থ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। শিশুকালে মাতৃ বিয়োগের ফলে কবি সুব্রত মিত্রের জীবন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তার জন্ম তারিখ এবং জন্মস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সুব্রত মিত্রের ঘনিষ্ঠ মহল ও আত্মীয় পরিজনের বিবৃতি অনুযায়ী তার জন্ম কোলকাতার নীলরতন হাসপাতালে হয় বলে অনুমান করা হয়। সুব্রত মিত্র ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। ছোটবেলায় বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করতে করতেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন।
পঞ্চম শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েই ছাত্র জীবনের ইতি ঘটে তার।মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলাতেই তিনি কবিতা আবৃতি,একক অভিনয়ের মতো নানান বিষয়ে বেশ কিছু সম্মান অর্জন করেন। বিদ্যালয়ের অন্যতম মেধা সম্পন্ন ছাত্র হওয়া সত্বেও পরবর্তীতে পড়াশোনা বন্ধ করে এক প্রকার হঠাৎ করেই কর্মজীবনে প্রবেশ করায় কিশোর সুব্রত চরম বাস্তবের সম্মুখীন হন।
পেটের জ্বালায় করতে হয় তাকে বেলুন বিক্রি, দিনমজুরের কাজ, বাবুদের শরীর টিপে দেওয়ার (বডি ম্যাসাজ) মত ১৯ টি পেশার কাজ। বর্তমানে তিনি পেশায় একজন গাড়ির চালক ও গাড়ি পরিষ্কারের লোক। সুব্রত মিত্র থেকে কবি সুব্রত মিত্র হয়ে ওঠা এই কবি দেশ-বিদেশে অগণিত পত্রপত্রিকা সহ ওয়েব ম্যাগাজিন, পোর্টাল, ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইলে লিখে চলেছেন।
এছাড়াও গুগলের নানান প্ল্যাটফর্মেও লিখে চলেছেন একনাগারে। রয়েছে তার একটি youtube চ্যানেলও। ইতি মধ্যে কাব্য রত্ন, সাহিত্যরত্ন সহ শতাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন এই কবি। সমাজের বুকে ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কবি সুব্রত মিত্র সর্বদাই সজাগ দৃষ্টি সহিত প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, করেন। করেন বিদ্রোহ। আজকাল কবি সুব্রত মিত্রকে সাহিত্য মহলের কিছু অংশ বিদ্রোহী কবি বলেও চিহ্নিত করেছেন।লেখালেখির সূত্র ধরে কবি সুব্রত মিত্র একটি মানবাধিক সংগঠন, ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন সহ আরো গোটা পঞ্চাশের সংগঠনের সাথে আছেন। আজীবন লড়াইয়ের ময়দানে থাকা এই কবি বর্তমানে দক্ষিণ কোলকাতা সংলগ্ন গড়িয়া নতুন দিয়াড়াতে তার স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে বসবাস করেন।
কবির লেখা "আত্ম বাণী" নামক একটি একক গ্রন্থও প্রকাশ পেয়েছিল। তবে তা তেমনভাবে সমাজে প্রকাশ পায়নি। কবি সুব্রত মিত্রের চোখে আদর্শ হলো পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন যুদ্ধ। চূড়ান্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলাকেই তিনি আমাদের নৈতিক আদর্শ হওয়া উচিত বলে মনে করেন। তার জীবনের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা গোপন তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য গৌর সাহিত্য পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। তিনি মনে করেন প্রত্যেক কবি সাহিত্যিক কে জীবন এবং তার দর্শনই তাকে সাহিত্যিক রূপে গড়ে তোলে বা স্বীকৃতি দেয়।
Join the conversation