লেখিকা সুমিতা চৌধুরী
সুমিতা চৌধুরী
লেখিকা পরিচিতি
পিতা শ্রী সলিল চ্যাটার্জ্জী ও মাতা শ্রীমতি অরুণা চ্যাটার্জ্জীর জ্যেষ্ঠ কন্যা লেখিকা সুমিতা চৌধুরীর জন্ম ১লা মে ১৯৭৩ সাল, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার সালকিয়ায়। বর্তমান স্থায়ী নিবাস হাওড়া জেলার লিলুয়ায়। শিক্ষাজীবন "কেদারনাথ বাবুলাল রাজগড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়", সালকিয়া। পড়াশুনা চলাকালীনই বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন।
ছোটোবেলায় বাবার সাহিত্যচর্চাই তার জীবনের প্রেরণা। বাবাকে দেখেই এই জগতে প্রবেশ, হাতে খড়ি। পরবর্তী অধ্যায়ে বর্তমানে প্রয়াত স্বামী শ্রী বুলবুল চৌধুরীর সাহিত্যচর্চাও তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। এবং তাঁর সাহচর্যেই সাহিত্য জগতে প্রবেশ ঘটে তাঁর। তারপর পরিবারের সকলের সাহচর্য ও উৎসাহে নিয়মিতভাবে লেখালিখির চর্চা। অধুনা বিভিন্ন ছোট-বড় পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
গল্প, কবিতা, মুক্তগদ্য, উপন্যাস-উপন্যাসিকা-ই মূলত তাঁর কলমে ধরা পড়ে। তবে দু/একটি নাটক ও প্রবন্ধ-ও তিনি লিখেছেন ইতিমধ্যে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লেখা হলো, "বৈধব্য"(কবিতা), "বিসর্জন" (গল্প), "ব্যথার বিষে অশ্রু মিশে"(উপন্যাসিকা), "অভিশাপ"(নাটক), "বিন্দুতে জোড়ো সিন্ধু"(প্রবন্ধ), এবং "গৌর সাহিত্য পত্রিকা"য় প্রকাশিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লেখা যথাক্রমে, "ইতিহাস প্রহর গুণছে", "প্রজাপতি শৈশব" "গণতন্ত্র" ইত্যাদি।
তাঁর প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ "রৌদ্র- ছায়া", প্রকাশকাল ২০১৯। এছাড়াও পরবর্তীতে আরো একটি কাব্যগ্রন্থ "মন ঘরের রোদ-বৃষ্টি" এবং "যাপনের রামধনু" নামক একটি গল্পগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। এবং সম্প্রতি ২০২৫-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর তিনটি বই, গল্পগ্রন্থ "পথের বাঁকে", ভূতের গল্পের বই "আতঙ্ক" ও কাব্যগ্রন্থ "শুধু তোমারই জন্য"।
তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটি সাহিত্য পত্রিকার "সাহিত্য রত্ন সম্মান", পশ্চিমবঙ্গ সাহিত্য সংসদের "রবীন্দ্র স্মৃতি স্মারক সম্মান" ও "নজরুল স্মৃতি স্মারক সম্মান", "অন্বেষা"র "A Lit" সম্মান, এবং আরো নানা ছোট বড়ো সম্মাননা। এবং "গৌর সাহিত্য পত্রিকা"র সবিশেষ সম্মান "রবীন্দ্র-মাইকেল সম্মান"। এ সকলই তাঁর সাহিত্য জীবনের আগামী পথ চলার অনুপ্রেরণা তথা পাথেয়।
Join the conversation